স্বদেশ ডেস্ক:
সপ্তাহখানেক ধরেই ছন্দে ফিরছে করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত চীন। এ বার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উহানেও বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস খুলতে চলেছে বলে জানিয়েছে চীনা সরকার।
করোনা-অধ্যুষিত হুবেই প্রদেশে মঙ্গলবার যান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। হুবেইয়ের উহান শহরেই করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানিও উহানেই। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই শহরে নতুন করে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। উহান ছাড়া হুবেইয়ের বাকি সব শহরে গত কয়েক দিনে আর একজনও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হননি।
উহানও যাতে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে, সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অফিসগুলো প্রথমে খোলা হবে। হুবেইয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আপাতত জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা হন্ডা উহানে তাদের অফিস খুলেছে। ২০ মার্চের পরে আরো কিছু সংস্থা কাজ শুরু করবে। হুবেইয়ের অন্য শহরগুলির জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে উহান এখনো চীনের অন্য শহর থেকে বিচ্ছিন্ন।
জিনপিং সরকার ঘোষণা করেছে, কোনো দেশ থেকে কেউ বেইজিংয়ে এলেই তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। অন্য দেশ থেকে চীনে যাতে আর কোনোভাবেই এই ভাইরাস না ঢোকে সে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চীনে করোনা-ভাইরাসের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৩,১০০ ছাড়িয়েছে।
করোনায় ইরানে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রথম এই ভাইরাসের হানায় এক দিনে এত মানুষের মৃত্যু হল। গোটা দেশে মৃত বেড়ে ৩৫৪। আক্রান্ত ৯ হাজার। ইরানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার অফিসের দু’জনও করোনা আক্রান্ত।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা